গলদা চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ভিন্নতর পদ্ধতিতে অর্থাৎ চিংড়ি খোলস বদলানোর মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। খোলস পাল্টানোর সময় চিংড়ি অত্যন্ত দুর্বল থাকে। তখন তাদের আশ্রয়স্থলের প্রয়োজন হয়। তবে সকল চিংড়ি একই সময় খোলস পাল্টায় না। এ সময় সবল চিংড়ি দুর্বল চিংড়ি গুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে। এজন্য চিংড়ি রুড পুকুর ব্যবস্থাপনায় আশ্রয়স্থল স্থাপনের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন যাতে অন্য প্রাণী বা চিংড়ি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। এ জন্য নারিকেল/খেজুর গাছের শুকনো পাতা/বাঁশের কঞ্চি, ভাঙ্গা প্লাস্টিক পাইপ, গাছের ডালপালা ইত্যাদি দিয়ে আশ্রয়স্থল নির্মাণ করা যায়। এক্ষেত্রে শতকে কমপক্ষে ১টি আশ্রয়স্থল স্থাপন করা উচিত।
ডালপালা হতে পাতা পড়ে পানি যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
তাল বা নারিকেলের পাতা এমনভাবে পুকুরের তলদেশে পুঁতে দিতে হবে যাতে পাতার অংশ পুকুরের তলদেশ থেকে একটু উপরে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাল বা নারিকেলের পাতা কোণাকোনি (৪৫) পুঁতে নিলে আশ্রয়স্থল হিসেবে বেশি জায়গা পাওয়া যায় এবং পাতাগুলো পুকুরের তলদেশের উপর থাকলে সহজে পচবে না। বাঁশের কঞ্চি আটি বেঁধে অথবা প্লাস্টিকের পাইপ পৃথক পৃথকভাবে পুকুরের তলায় মাটির ওপর রেখে দিতে হবে। খেজুরের পাতাও আটি বেঁধে দেয়া যায়।
চিংড়ি মজুদের ২/১ দিন পূর্বে তাল বা নারিকেলের পাতা প্রতি শতাংশ জলায়তনে ১-২ টি স্থাপন করতে হবে। তাল বা নারিকেলের ডাল মাটিতে এমনভাবে পুঁতে দিতে হবে যেন পাতার অংশ মাটি থেকে একটু উপরে কোপকোনি অবস্থায় থাকে। প্লাস্টিক পাইপ, ভাঙা কলসি, পুকুরের তলায় রেখে দিতে হবে। অন্যান্য উপকরণগুলো আনুপাতিক হারে ব্যবহার করতে হবে।